‘পরাজিত হলেও বিজয়ীর গলায় মালা পরানো লোক আমি’

আসন্ন শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনকে ঘিরে জমে উঠেছে এফডিসি অঙ্গন। বুধবার সকাল থেকেই এখানে অভিনয় শিল্পীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। মনোনয়ন ফর্ম জমা দিতে এদিন এখানে আসেন বিগত চার বছর ধরে শিল্পী সমিতির দায়িত্বে থাকা মিশা-জায়েদ।
কথা বলেন বিগত দিনে নিজেদের সাফল্য নিয়েও।গত দুই বছরের মতো এ বছরও পূর্ণাঙ্গ প্যানেল নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মিশা-জায়েদ। অন্য আরেকটি প্যানেলের নেতৃত্বে আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও চিত্রনায়িকা নিপুণ।
এদিন এফডিসিতে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান।বিগত দিনে নিজেদের নেতৃত্বের সফলতার কথা জানিয়ে মিশা বলেন, মিশা-জায়েদ কেবিনেটকে বিশ্বাস করে যারা পূর্ণ সমর্থন দিয়ে শিল্পী সমিতির ইতিহাসে ২১ জনকে পাশ করিয়েছিলেন, আমরা চেষ্টা করেছি শতভাগ এর মধ্যে ৯৫ ভাগকে সন্তুষ্ট করতে। তারাই বলতে পারবেন, তাদের জন্য আমাদের কেমন পারফরম্যান্স ছিলো।ইলিয়াস কাঞ্চনকে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় শুভ কামনা জানিয়ে মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমার
শ্রদ্ধেয় ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইকে মোস্ট ওয়েলকাম। জিতলেও তার পাশে থাকবো, হারলেও তার পাশে থাকবো। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে সেবা করা।’শিল্পীদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করতে রাজি নন মিশা। জানান, ‘আগামী নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক,পরাজিত হলেও বিজয়ীর গলায় মালা পরানো লোক আমি। এই প্র্যাকটিস আমার আছে। আমি আমি মূলত স্পোর্টসম্যান, আমার ভেতরে স্পোর্টস কাজ করে।’
তিনি বলেন, শিল্পী সমিতি অলাভজনক এবং অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, এখানে নির্বাচনের মাধ্যমে যারাই আসুক সেবা হিসাবেই নেতৃত্বটাকে দেখবেন বলে বিশ্বাস করি।সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জায়েদ খান বলেন, গত চার বছর আমরা ক্ষমতায় ছিলাম। এই চার বছরে আমরা কী করতে পেরেছি, সেটা শিল্পীরাই বলতে পারবেন। তবে এটুকুটু বলছি, এই শিল্পী সমিতির অবস্থা খুব ভালো ছিলো না, কারো খুব একটা আগ্রহ ছিলো না। গত চার বছরে আমরা শিল্পী সমিতিকে ‘ফোকাস’-এ আনতে পেরেছি, তা না হলে ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ের মতো সিনিয়র মানুষ নির্বাচনে অংশ নিতেন না। এটুকুকে আমরা আমাদের সফলতা হিসেবে দেখছি।
নির্বাচন নিয়ে জায়েদ খান বলেন, আমরা শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কখনোই অন্য আর দশটা নির্বাচনের মতো দেখিনা। কারণ এটাকে একটা মিলন মেলা মনে করি। জাস্ট মালা বদল এর পালা। পিকনিকের মত ব্যাপার। নির্বাচন উপলক্ষে সবাই একত্রিত হয়, শিল্পীদের সবার মধ্যে দেখা হয়- সৌহার্দ্য বোধ তৈরি হয়। আমরা বাড়তি কথা বলতে পছন্দ করি না। সাড়ে চারশো’র মতো শিল্পী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন, তারা যাকে পছন্দ করবে তাদের গলায় মালা উঠবে।