রাইমা শিমুকে সিনেমায় নিয়ে আসেন চিত্রনায়ক মান্না

১৯৯৮ সালে বরেণ্য পরিচালক কাজী হায়াতের হাত ধরে চলচ্চিত্রে নাম লেখান রাইমা ইসলাম শিমু। গেলো সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকা থেকে এই অভিনেত্রীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিমু হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে আঁতকে ওঠেন কাজী হায়াৎ।
২৪ বছর আগে শিমুর খোঁজ কীভাবে পেলেন তা জানিয়ে কাজী হায়াৎ বলেন, “ওর ভাই খোকন এফডিসিতে ঘোরাঘুরি করত। তার সঙ্গে মান্নার ভাইয়ের যোগাযোগ ছিল। সেই সূত্রে মান্নার সঙ্গেও পরিচয়। একদিন শিমুকে এনে মান্না বলল- হায়াৎ ভাই, দেখেন তো এই মেয়েটা চলে কিনা? চলচ্চিত্রে অভিনয় করার তার খুব আগ্রহ। আমিও বললাম, ওকে। আমার প্রথম সিনেমা ‘বর্তমান’-এ প্রথম কাজ করল। এরপর ‘মিনিস্টার’–এ অভিনয় করে। দুইটা সিনেমায় মান্নার অনুরোধে শিমুকে নেওয়া।”
শিমুকে ‘বিষ্ণুপদ’ নামে ডাকতেন কাজী হায়াৎ। কারণ এই পরিচালকের গ্রামে বিষ্ণুপদ নামে একজন হিন্দু ভদ্রলোক ছিলেন। তাঁর চেহারার সঙ্গে শিমুর চেহারায় মিল ছিল। শিমু ছিল ওই ভদ্রলোকের মতো নম্র আর ভদ্র। খুব একটা কথা বলত না। চুপচাপ শুনত। শান্ত মেজাজের। অভিনেত্রী শিমু প্রায় ২৫টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি অর্ধশতাধিক নাটকেও অভিনয় করেছেন তিনি।