সাতক্ষীরায় চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড, খণ্ডিত মাথা উদ্ধার

সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিকে গ্রেপ্তারের পর হত্যার শিকার ইয়াসিন আলীর খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করেছে র্যাব।রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টায় সাতক্ষীরা শহরের বাইপাস সড়কের একটি কালভার্টের নিচ থেকে বস্তায় ভর্তি মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাতে ঘাতক জাকির হোসেনকে (৫০) গ্রেপ্তার করে র্যাব। জাকির হোসেন সদর উপজেলার পারকুখরালী গড়েরকান্দা এলাকার বাচ্চু শেখের ছেলে।
মাথা উদ্ধারের পর অভিযুক্তের ব্যবহৃত মোটরভ্যান ও পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধারের চেষ্টা করছে বলে র্যাব জানিয়েছে। উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন খুলনা র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোসতাক আহমেদ।
এ বিষয়ে লে. কর্নেল মোসতাক আহমেদ জানান, ইয়াছিন আলীর সঙ্গে জাকিরের ব্যবসা ছিল। ব্যবসার লেনদেনের ২০ হাজার টাকা পেতেন ঘাতক জাকির। কয়েকবার তাগাদা দিয়েও টাকা না পাওয়ায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে জাকির।
হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে র্যাবের অধিনায়ক জানান, হত্যার পরিকল্পনা ইয়াছিনকে বুঝতে না দিয়ে নতুন ব্যবসার কথা বলে গত ৩০ আগস্ট একটি ভ্যানে করে তাকে শহরের বাইপাস সড়কে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় গল্পগুজব করে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে জাকির। রাত যখন গভীর হয় তখন সে সুযোগ বুঝে রাত ১২টার পরে ইয়াছিনের গলায় দা দিয়ে কোপ মারে। এতে সে পড়ে গেলে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে জাকির। একপর্যায়ে তার মাথা শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায়। তখন মাথাবিহীন মরদেহ টেনে রাস্তার পাশের পানিতে ফেলে দেয়। আর মাথাটি ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে বাইপাসের একটি কালভার্টের নিচে বস্তাবন্দি করে ফেলে রেখে সে চলে যায়।
মোসতাক আহমেদ বলেন, পরদিন ৩১ আগস্ট এলাকার লোকজন রাস্তার পাশের পানিতে লাশ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ইয়াছিনের স্ত্রী বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর চারদিন পর র্যাব ইয়াছিন হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উদঘাটন করতে সমর্থ হয়।